অপারেটিং সিস্টেম কি?
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Login to our ITSupportBD questions & Answers Engine to ask questions answer people’s questions & connect with other IT people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
ইংরেজি Operate শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল পরিচালনা করা। অপর দিকে System এর আভিধানিক অর্থ হল পদ্ধতি। অর্থাৎ অপারেটিং সিস্টেম বলতে কোন বস্তুকে পরিচালনার পদ্ধতিকে বুঝিয়ে থাকে।
আমেরিকান ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড ইনস্টিটিউটের (ANSI) মতে অপারেটিং সিস্টেমের সংজ্ঞা হলঃ
যে সফটওয়্যার কম্পিউটার প্রোগ্রামের এক্সিকিউশন নিয়ন্ত্রণ করে এবং সিডিউলিং, ডিবাগিং, ইনপুট/আউটপুট নিয়ন্ত্রণ, একাউন্টিং, কম্পাইলেশন, তথ্যাবলি সংরক্ষণ, কার্যক্রম, তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং আনুষঙ্গিক কাজ সমূহ করে থাকে তাকে অপারেটিং সিস্টেম বা OS বলে।
১৯৫১ সালে USA এর জেনারেল মটর রিসার্চ ল্যাবরেটরি কর্তৃক IBM কর্পোরেশনের জন্য সর্বপ্রথম অপারেটিং সিন্টেম আবিস্কৃত হয়। এটি তখন মেইনফ্রেম কম্পিউটারে ব্যবহার করা হত। ১৯৭১ সালে অপারেটিং সিস্টেম পিসি তে ব্যবহার করা শুরু হয়। বর্তমানের অপারেটিং সিস্টেম গুলো আগের চাইতে উন্নত, সহজ এবং দ্রুততর হয়েছে।
অপারেটিং সিস্টেম এর প্রকারভেদ
বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেম হলঃ
* Windows
* Android
* Linux
* MAC OS
* OS/2
* Solaris
* XENIX
অপারেটিং সিস্টেমের শ্রেণিভেদ দেয়া হল-
১.ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম (Batch Processing Operating System)
২. মাল্টিপ্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেম (Multiprogramming Operating System)
৩. মাল্টিপ্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম (Multiprocessing Operating System)
৪.রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম (Real Time Operating System)
৫. টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম (Time Sharing Operating System)
৬. ভারচুয়াল স্টোরেজ অপারেটিং সিস্টেম ( virtual operating system)
অপারেটিং সিস্টেমের কার্যাবলী (Functions of Operating System)
অপারেটিং সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো উল্লেখ করা হল-
১. অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারকে সক্রিয় (Active) ও ব্যবহার উপযোগী করে তোলে।
২. বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যারের সাথে ডিভাইসসমূহের সংযোগ সাধন করে এবং সফটওয়্যারসমূহের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে।
৩. ইনপুট (Input) ও আউটপুট (Output) ডিভাইসসমূহ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
৪. সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করে এবং বিভিন্ন প্রোগ্রাম লোড (Load) করে থাকে।
৫. ফোল্ডার (Folder) তৈরি এবং ফোল্ডার সংক্রান্ত কাজে সুবিধা প্রদান করে থাকে।
৬. ডিস্কের ত্রুটি খুঁজে বের করে এবং তা ব্যবহারকারীকে তথ্য প্রদান করে থাকে।
৮. ডিস্কের ত্রুটি নিয়ন্ত্রণের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করে থকে।
৯. হার্ডওয়্যার (Hardware) এর ত্রুটি অনুসন্ধান করে এবং সেই সংবাদ মনিটর (Monitor) এর পর্দায় প্রদান করে থাকে।
১০. গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য নির্ধারিত পাসওয়ার্ড (Password) ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করে থাকে।
১১. ব্যবহারকারীর নির্দেশ গ্রহণ, বিশ্লেষণ ও ব্যাচ প্রসেসিং করে থাকে।
১২. কোন প্রোগ্রামে ত্রুটি (Error) থাকলে তা নির্ণয় করে থাকে।
১৩. অপারেটিং সিস্টেম নেটওয়ার্ক (Network) এ সাহায্য করে থাকে।
১৪. বিভিন্ন ডিস্ক হতে তথ্য মুছে ফেলা এবং এক ডিস্ক হতে তথ্য অন্য ডিস্কে স্থানান্তর করে থাকে।
এককথায় বলা যায় হার্ডওয়্যারকে (Hardware) কাজের উপযোগী করে তোলে সফটওয়্যার।