হ্যাম রেডিও কি ?
Share
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people’s questions, and connect with other people.
Login to our ITSupportBD questions & Answers Engine to ask questions answer people’s questions & connect with other IT people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
Amateur radio, বা Ham radio হচ্ছে আমেচার রেডিও বা হ্যাম রেডিও হচ্ছে একটি বিশ্বব্যাপি কমিউনিটি যার মাধ্যমে সারা বিশ্বের প্রায় ৩ মিলিয়ন ব্যাক্তি নিজেদের মাঝে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন । ২০০৪ সালের জরিপ অনুযায়ী এমেরিকায় ৭ লক্ষ , জাপানে ৬ লক্ষ , দক্ষিন কোরিয়ায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার , থাইল্যান্ডে ১ লক্ষ ৪০ হাজার , কানাডায় ৫৭ হাজার , জার্মানিতে ৭০ হাজার , ইংল্যান্ডে ৬০ হাজার , সুইডেনে ১১ হাজার , নরওয়েতে ৫ হাজার এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ১৬ হাজারের বেশি হ্যাম এই বিষয়ে যথেষ্ট এগিয়ে আছে । তারা স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে কাজ করে অ্যামেচার রেডিও নিয়ে আরও গবেষণা করার জন্য মহাকাশের বুকে নিজেদের অ্যামস্যাট (অ্যামেচার স্যাটেলাইট) পাঠিয়েছে, যা বিশ্বের যে কোন হ্যাম বিনা পয়সায় ব্যবহার করতে পারে !
অ্যামেচার রেডিও কিন্তু শুধু কথা বলার জন্য নয় , এই রেডিও ব্যবহার করে আপনি অ্যামেচার স্যাটালাইট , অ্যামেচার টেলিভিশন, স্লো-স্ক্যান টিভি , ফাস্ট-স্ক্যান টিভি , ডাটা ট্রান্সমিশনের বিভিন্ন মোডের ব্যবহার , মোর্স কোড ও রেডিওকে মডেম হিসেবে ব্যবহার করার মতো আরো অনেক মজার মজার কাজ করতে পারবেন । দুর্যোগের সময়েও অ্যামেচার রেডিও খুব কাজে লাগে। কারণ তখন ফোন নেটওয়ার্ক কাজ করে না। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে , এসব কাজে আমাদের সাহায্য করার জন্য সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ HAM বসে আছে , যাদের পেশা অথবা শখই হলো বিনামূল্যে অন্যান্য HAM দেরকে সাহায্য করা এবং অ্যামেচার রেডিও নিয়ে গবেষণা করা ।
আমরা যদি এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথে আমাদের দেশের সাথে তুলনা করি , তাহলে বলা যায় যে, আমরা অন্যান্য দেশের থেকে প্রযুক্তি ও দক্ষ লোকবলের দিক থেকে যথেষ্ট এগিয়ে আছি । কারণ আমাদের দেশে ইকোলিংকে সংযুক্ত যে রিপিটারটি আছে , সেটি ২৪ ঘন্টা ইন্টারনেটে সংযুক্ত আছে একটি আইএসপি-র অফিসে এবং সেই আই্এসপি এর মালিক নিজে একজন হ্যাম এবং তিনি বা্ংলাদেশের হ্যামদের থেকে কোন অর্থ নেন না এই সেবা দেয়ার বিনিময়ে । আর বাংলাদেশের হ্যামরা সবসময়ই কেউ না কেউ ব্যান্ডে থাকে । তারা সবসময়ই নিজেদের মধ্যে নানা বিষয়ে কথাবর্তা বলে , এমন কোনো দিন নেই যেদিন ব্যান্ডে ১০-১২ টা বিদেশী স্টেশন আসে না । বিদেশের প্রত্যেকটি দেশের হ্যামদের কাছে সিয়েরা ২১ ল্যান্ড (বাংলাদেশের কলসাইন S21 দিয়ে শুরু , তাই বাংলাদেশকে সিয়েরা ২১ ল্যান্ড বলা হয়) খুবই জনপ্রীয় । কারণ হচ্ছে , যখনই কোন বিদেশী স্টেশন আমাদের দেশের ইকোলিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্টেশনের সাথে কথা বলতে চায় , তখন অবশ্যই কেউ না কেই তাদের উত্তর দেয় । বিদেশী স্টেশনগুলো অনেক সময়ই বাংলাদেশের স্টেশনগুলোর সাথে কথা বলে হ্যাম রেডিও সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশী হ্যামদের সাহায্য নেয় । এসবই হয় ইংরেজী ভাষায় , এতে করে আমাদের ইংরেজী ভাষার চর্চাটাও খুব বেশী হয় , যা আমাদের জন্য একান্ত দরকার । আমাদের দেশে হ্যামরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রেডিও সিগন্যাল পাঠাচ্ছেন বহনযোগ্য রিপিটার ব্যবহার করে , যেগুলো বাংলাদেশী প্রযুক্তিতে অতি সামান্য অর্থ ব্যয় করে হাতে তৈরি করা হয়েছে ।
এটার জন্য আপনার প্রথমে লাগবে একটি রেডিও সেট ও লাইসেন্স। রেডিও সেট আপনাকে মনে হয় বিদেশ থেকে আনাতে হবে। বাংলাদেশে এগুলো পাওয়া যায় না। আর লাইসেন্স নিতে হবে BTRC থেকে পরীক্ষা দিয়ে। লাইসেন্স নিতে খুব একটা খরচ পড়বে না। এটাচ ফাইল দেখুন।